1

২৭ বছর পর ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্বপ্ন সিঁড়ির শেষ ধাপে এখন ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিল স্বাগতিকেরা। ২৭ বছর পর পা রাখল ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের মঞ্চে। সর্বশেষ ১৯৯২ বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলেছিল ইংলিশরা।

বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড। বোলিংয়ে দাপটের পর ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়েছে ইয়ান মরগানের দল। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৩২.১ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট কেটেছে নিউজিল্যান্ড। রোববার লর্ডসে শিরোপার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কিউইরা। দুই দলেরই বিশ্বকাপ শিরোপা এখনো অধরা। না পারার দুঃখ ঘুচিয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে ট্রফি হাতে উল্লাস করবে কারা, সেটিই এখন দেখার।

টস ভাগ্য পক্ষে না গেলেও বোলিংয়ে ক্রিস ওকস ও জোফরা আর্চার আগুন ঝরালেন। এই দুইয়ের গতি আর বাউন্সারের সঙ্গে আদিল রশিদের কবজির ঘূর্ণি। শুরু থেকেই পথ হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তাই লড়াই করার মতো ভালো পুঁজিটাও পেল না।

২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো উদ্বোধনী জুটিতেই যোগ করেন ১২৪ রান। অস্ট্রেলিয়াও ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় তাতে। স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বেয়ারস্টো। ৪৩ বলে ৫ চারে ৩৪ রান করেছেন তিনি।

স্কোর বোর্ডে আর ২৩ রান যোগ হতে ফেরেন রয়। কামিন্সের শিকার হওয়ার আগে ৬৫ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৫ রান করেন। বাকি কাজটা সেরেছেন ইংল্যান্ডের ‘দুই অধিনায়ক’। টেস্ট অধিনায়ক জো রুট ৪৯ ও ওয়ানডে অধিনায়ক মরগান ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলা অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৯) ও অ্যারন ফিঞ্চ (০) ব্যর্থ হলেন। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পিটার হ্যান্ডসকম্বও রান পেলেন না। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেন স্টিভ স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারি।

আর্চারের বাউন্সারের আঘাতে আহত হওয়ার পরও ৪৬ রানের ইনিংস খেললেন ক্যারি। স্মিথের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন ১০৩ রান। কিন্তু ক্যারিকে ৪৬ রানে থামতে হয়।

স্মিথ একা লড়াই করে গেলেন। খেললেন ৮৫ রানের ইনিংস। রান আউট হয়ে কাটা পড়ার আগে ১১৯ বলে ৬ চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। অষ্টম উইকেটে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মিচেল স্টার্ক। দুজনে যোগ করেন ৫১ রান। স্টার্কের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।

ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নেন ওকস ও রশিদ। আর্চার ২ টি ও উড ১ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্রিস ওকস।