1

১০০ বছরের ইতিহাসে এমন সুষ্ঠু নির্বাচন আর হয়নি: হানিফ

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১০০ বছরের নির্বাচনের ইতিহাসে এমন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আর কখনও দেখা যায়নি।’ শনিবার সন্ধ্যায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করেছিলেন। বিএনপি কখনোই জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা অভিযোগগুলো দেখে সবার ধারণা হয়েছে, তিনি এই অভিযোগগুলো আগেই লিখে রেখেছিলেন। ফখরুল যেসব অভিযোগ তুললেন, যেগুলো হাস্যকর। বিএনপির সব অভিযোগই মিথ্যাচারে ভরা। এগুলোর কোনও ভিত্তি নেই।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আসলে বিএনপি নিজেদের পরাজয়ের আশঙ্কা করেই আগেভাগে কিছু অভিযোগ করার জন্য এই সব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কোনও কোনও জায়গায় তাদের এজেন্টরা আসেননি বলেও শুনেছি।’ ‌

মোহাম্মদপুরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কিছুটা গোলোযোগ হয়েছে। সেখানে বিএনপি-মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজেশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারদলীয় কোনও ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা সরকারদলীয় কোনও মেয়র প্রার্থী জড়িত নন।’

‘প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করেছেন’—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হানিফ বলেন, ‘এটি চরম মিথ্যাচার। চরম নিন্দনীয় কথা। ফখরুলকে আহ্বান জানাবো, আপনি যে কথা বলেছেন, তার পেছনে যদি কোনও প্রমাণ থাকে, তা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। যদি প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

এ সময় বিএনপিকে দুই সিটি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোট লড়াইয়ের মাঠে ঠিকে থাকার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান হানিফ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।