1

হিলি স্থলবন্দরে অস্থিতিশীল পিয়াজের বাজার, কেজি প্রতি ১৪০ টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম ফের বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা করে। দুইদিন আগেও প্রতি কেজি পিয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে তা ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এদিকে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, সেপ্টেম্বরে এলসি করা তিন হাজার ৫০০ মে. টন পিয়াজ দেশে আসতে পারে এবং নভেম্বরে ভারত পিয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে। তখনই দাম স্বাভাবিক হতে পারে।
হিলি বাজারে পিয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে পিয়াজের দাম। বাজারে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা মনিটরিং না থাকায় আমার মতো সাধারণ ক্রেতাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সরকার দাম কমানোর কথা বললেও তা কার্যকর হচ্ছে না।

অপরদিকে, দিনাজপুর শহরের উপশহর কাঁচা বাজারে এক ক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, পিয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে পানি চলে আসছে।

পিয়াজ ব্যবসায়ী আহম্মেদ আলী বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ভারতীয় পিয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেটা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং সে হিসেবেই বিক্রি করছি।

পিয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, পিয়াজ সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। বন্ধের আগে খোলা এলসিতে এক হাজার টন পিয়াজ রফতানি করে ভারত। বাকি পিয়াজ দুর্গাপূজার ছুটি শেষে রফতানির কথা বললেও শুধু তার নামের ৫১ টন পিয়াজ রফতানি করে। হিলি বন্দর দিয়ে বর্তমানে পিয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

তবে মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, এখনো হিলির অনেক আমদানিকারকের সেপ্টেম্বর মাসের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পিয়াজের এলসি রয়েছে। সেগুলোর বিপরীতে হয়তো পিয়াজ দেবে ভারত। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, নভেম্বরে পিয়াজ রফতানি করলেই দাম কমতে শুরু করবে।