1

স্পিন ফাঁদে আটকা পড়ল বাংলাদেশ

উনিশ বছরের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। ঘরের মাঠে অহরহ স্পিন খেলার আত্মবিশ্বাস। এই দুইয়ে বিশ্বাস রেখে স্পিন ভেরিয়েশনে ভরপুর আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পিন ফাঁদ পাতে বাংলাদেশ। চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নামে সাকিব আল হাসানরা। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন আফগান ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অকেজো হয়ে যায় বাংলাদেশের স্পিন। দ্বিতীয় দিন আফগানদের সেই স্পিনেই আবার পা হড়কেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯৪ রান। আফগানদের প্রথম ইনিংস থেকে পিছিয়ে আছে ১৪৮ রানের বড় ব্যবধানে।

দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে নবম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান তোলা এবং ১৫ ওভার ব্যাটিং করা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানের বড় রান তুলে অলআউট হয় আফগানিস্তান। নিজেদের তৃতীয় টেস্টে এসে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তোলে তারা। এরপর ব্যাটে নামা বাংলাদেশকে চেপে ধরে সফরকারীরা।

প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের উইকেট। স্কোরবোর্ডে তখন কোন রান জমা হয়নি। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তরুণ ওপেনার সামদান। দলের ৮৮ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। একে একে ফিরে যান সৌম্য সরকার, লিটস দাস, সাকিব এবং মুশফিক। ফলো অনের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। শতকের পরে ৬ উইকেট পড়তেই সেটা আরও প্রকট হয়। কিন্তু লেজের ব্যাটসম্যানদের দৃড়তায় আফগানদের কাছে ফলো অনের লজ্জা এড়ায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিন শেষেই বাংলাদেশের সামনে আফগানদের কাছে হারের শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছে।

শুরুতে উইকেট হারানোর পর সৌম্য এবং লিটন দাস দৃড়তা দেখান। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ শুরুর ধাক্কা সামলে উঠবে। কিন্তু সৌম্য সরকার ১৭ রান করে দলের ৩৮ রানে ফিরে যান। এরপর দারুণ ব্যাট করা লিটন দাস ৩৩ রান করে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পড়েন। অন্যদিকে মুমিনুল দলকে ভরসা দিচ্ছেলেন। কিন্তু সাকিব-মুশফিকরাও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। সাকিব ১১ রান করে দলের ৮৮ রানে রশিদ খানের স্পিন ফাঁদে পড়েন। একই ওভারে শূন্য রান করে বির্তকিত ক্যাচে আউট হন মুশফিক।

অথই পাথারে পড়ে যাওয়া দলকে উদ্ধার করতে পারেননি বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সফরে খারাপ সময় কাটানো মাহমুদুল্লাহ। তিনি মাত্র ৭ রান করে কাটা পড়েন। এবারও ঘাতক সেই রশিদ খান। অন্যদিকে মুমিনুল হক খেলে যাচ্ছিলেন। চট্টগ্রামের মাঠটা তার জন্য পয়া। এই মাঠেই পেয়েছেন ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সেঞ্চুরি। কিন্তু এদিন ফিফটি করেই ফিরে যান তিনি। করতে পারেন ৫২ রান। দলের রান তখন ১৩০। পরে মেহেদি মিরাজ আউট হলে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে পথ পাড়ি দেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল তৃতীয় দিন শুরু করবেন ১৪ রান নিয়ে।