1

স্টোকসই বিশ্বসেরা

বেন স্টোকসের মাঝে অনেকেই কিংবদন্তি ইয়াম বোথামের ছায়া দেখতে পান। অনেকে তো আগ বাড়িয়ে তার মাঝে বিশ্বের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের প্রতিচ্ছবিও দেখেন। তবে কারো কথাই যে মিথ্যা নয় ম্যাচের পর ম্যাচ সেটাই দেখিয়ে চলেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।

এবার ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বেন স্টোকসের। ব্যাট হাতে ৪৬৫ রান ও বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ের আসল নায়ক তো এই অলরাউন্ডারই।

ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে রীতিমতো বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন বেন স্টোকস। এবারের বিশ্বকাপের কথাই ধরুন- প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডকে জেতানোর নায়ক তিনি। গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও সেই দুটি ম্যাচে স্টোকসের প্রতিরোধ সবার নজর কেড়েছে।

ভারতের বিপক্ষে শেষের দিক ঝড় স্টোকস ঝড় না তুললে ইংল্যান্ড কি জিততে পারত? আর সেই ম্যাচটা না জিতলে সেমিফাইনাল্ তো উঠতে পারত না ইংল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের আশার পালে হাওয়া যোগানোর কাজটি তো স্টোকসই করেছেন। শুরুর দিকে ধীরে খেললেও সময় গড়ার সঙ্গে নিজের রূপ দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

জস বাটলার ফিরে গেলেও নিজেকে ধরে রাখেন স্টোকস। তবে শেষ পর্যন্ত একাই নিউজিল্যান্ডের মুঠো থেকে ম্যাচটা বের করে আনেন।

শেষ ওভারে ১৪ রান তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে যান বেন স্টোকসই। সুপার ওভারেও স্টোকসের ওপরই ভরসা রাখে ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে ৪ বলে ১১ রান নিয়ে অধিনায়কের মান রাখেন স্টোকস।

বিশ্বকাপে ম্যাচ সেরা, ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। বিশ্বসেরা হতে আর কী লাগে!