1

সেফুদার সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

ফেসবুকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআনের অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রীকে মানহানির মামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ জারি করেছে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস্ সামস জগলুল হোসেন এ আদেশ জারি করেন।

সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শামীম আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর আসামি সেফাতউল্লাহ’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল, যার প্রতিবেদন আজ দাখিল করা হয়। সেখানে আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক রয়েছেন মর্মে উল্লেখ ছিল। তাই ট্রাইব্যুনালে সম্পত্তি ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছেন। এরপর আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন।

চলতি বছর ২৩ এপ্রিল ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন এ মামলা করেন। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্তের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই পার্থ প্রতীম ব্রক্ষ্মচারী আসামি সেফুদার বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছর ৯ এপ্রিল বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল-কোরআন নিয়ে অবমননাকারী মন্তব্য করেন এবং মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেন। যা বাদীসহ মুসলিম জাহানের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এ ছাড়া এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমানাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে খুনি, কুলাঙ্গারসহ এমন কোনো খারাপ ভাষা নেই যে তার প্রতি উচ্চারণ করেননি।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই সেফুদা উন্মাদ ও বাবার ত্যাজ্যপুত্র। ২৫ বছর আগে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১৩ নম্বর সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সবঘর মিলে সেফুদার ভাইবোন ১৫ জনের অধিক। তার মধ্যে সেফুদার আপন ভাইবোনের সংখ্যা আটজন। তবে কারও সঙ্গে তার সর্ম্পক নেই।

পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।