1

সাপে কাটলে কী করবেন

দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি থাকার কারণে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। অনেকেই সাপের ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে করণীয়Ñ

১. সাপে কাটলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে শুইয়ে দিন। রোগীর নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। যাতে বিষ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

২. সাপ যদি হাতে বা পায়ে কামড় দেয়, তাহলে বাঁধন দিতে হবে। দংশিত স্থানের কিছুটা ওপরে দড়ি বা হাতের কাছে যা পান, তা দিয়েই বেঁধে ফেলুন। মনে রাখবেন, বাঁধনটা যেন অস্থিসন্ধিতে যেমন কনুই, কবজি বা গোড়ালি এবং গলা বা

মাথায় না হয়। যে দড়ি বা কাপড় দিয়ে বাঁধবেন তা যেন চওড়ায় দেড় ইঞ্চি হয়, কখনো তা যেন সরু সুতোর মতো বা রাবার ব্যান্ডের মতো না হয়। বাঁধনটি যেন খুব বেশি শক্ত না হয়। বাঁধনটি এমনভাবে দিতে হবে, যেন একটা আঙুল ওই বাঁধনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যদি বাঁধনটি শক্ত হয়, তাহলে ঢিলা করে দেবেন, তবে কখনোই তা খুলে ফেলবেন না। বাঁধনটি দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো রক্ত চলাচল বন্ধ রাখা। তবে বাঁধনটি একটানা ২০ মিনিটের বেশি একভাবে রাখবেন না। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর তা আলগা করে দিতে হবে।

৩. দংশিত স্থানটি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে দেবেন।

৪. জীবাণুমুক্ত ছুরি বা ধারালো ব্লেড দিয়ে দংশিত স্থান দুটোর প্রত্যেকটি সতর্কভাবে এক সেমি লম্বা এবং এক মিমি গভীরভাবে চিরে দিতে হবে।

৫. চেরা স্থানে ছয় মিনিট মুখ দিয়ে চুষলে তিন-চতুর্থাংশ বিষ বেরিয়ে আসে। তবে ৩০ মিনিট চোষাই ভালো। মুখ দিয়ে চোষার ক্ষেত্রে যিনি চুষছেন তার মুখে কোনো ক্ষত থাকা চলবে না। চোষার জন্য রাবার বাল্ব কিংবা ইলেকট্রিক সাকার শ্রেয়।

৬. বিষ চুষে বের করার পর দংশন স্থানে আয়োডিন টিংচার, কিংবা স্পিরিট লাগাতে হবে। স্থানটিতে এসিড কিংবা ফুটন্ত তেল দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

৭. প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, যেখানে অ্যান্টিভেনম সিরাম বা সর্প বিষনাশী সিরাম রয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে টিটেনাস বা ধনুষ্টঙ্কারের প্রতিষেধক দিতে হবে।