1

সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই

প্রখ্যাত সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।

প্রবীণ এই সাংবাদিক র্দীঘদিন ধরে মাইলো ফাইব্রোসেস (রক্তের ক্যান্সার) আক্রান্ত ছিলেন। তার অসুস্থতা বেড়ে গেরে ৮ জুলাই বেলা ১১টার দিকে তাকে ওই হাসপাতালে লাইফ সার্পোট দেয়া হয়।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাবা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যান তিনি।

সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন। তারা মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, রাতে জাহাঙ্গীরের লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। বুধবার সকাল ৮ টার কিছু পরে শান্তিনগরে নিজ বাসভবনে তার লাশ আনা হয়েছে। এখানে কিছুক্ষণ রাখা হবে বাবার মরদেহ। মৃত্যুর খবর শুনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বাসায় ভিড় করেন তার স্বজন ও গুণগ্রাহীরা। তাকে দেখতে সকাল ৯টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় আসেন বড় ভাই নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. ইউনূস।

বেলা ১১টায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে শান্তিনগরের চামেলিবাগ জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৭০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যুক্ত হন। এছাড়া সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও যুক্ত ছিলেন তিনি। নাচের সংগঠন নৃত্যাঞ্চল ড্যান্স কোম্পানির সমন্বয়কের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

মুহম্মদ জাহাঙ্গীর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ছোটভাই। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বেশকিছু বইও লিখেছেন তিনি। বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো’র উপস্থাপক ও আলোচক হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন।