বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন




সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে যুবলীগ নেত্রী ধরা

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দু’জনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নজিপুর পৌরসভার চৌ-রাস্তার মোড়ে মিষ্টির দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজির সময় তাদের ধরে পুলিশে দেয় উত্তেজিত জনতা।

আটকৃতরা হলেন, রাণীনগর উপজেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ও দাউদপুর গ্রামের আশিকুজ্জামান বিপ্লবের স্ত্রী মমতাজ বেগম সাথী ও তার ক্যামেরাপারসন নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে জাকারিয়া হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, কথিত নারী সাংবাদিক মমতাজ বেগম সাথী একটি টেলিভিশন চ্যানেলের নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা পরিচয়ে বিভিন্ন বেকারী, মিষ্টান্ন দোকান ও ফ্যাক্টরিতে গিয়ে সঙ্গীয় ক্যামেরাপারসন জাকারিয়া হোসেনের সহায়তায় অনিয়মের খবর প্রচারের হুকমি দিয়ে বহু দিন ধরে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের মিষ্টির দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের ধরে পুলিশের নিকট উত্তেজিত জনতা তুলে দিলে থানা পুলিশ হেফাজতে নেন।

পরে পত্নীতলা থানা পুলিশ রহস্যজনকভাবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথিত সাংবাদিক মমতাজ বেগম সাথী ও তার ক্যামেরাপারসন জাকারিয়াকে ছেড়ে দেয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মমতাজের বিরুদ্ধে একাধিক মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মমতাজ বেগমের স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এর আগে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ থাকায় রাণীনগর প্রেসক্লাব হতে মমতাজ বেগমকে ২০১৬ সালে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতা মমতাজ বেগম ও তার ক্যামেরা পারসন জাকারিয়াকে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছিল সত্য। তারা সাংবাদিক কিনা সত্যতা যাচাই করার জন্য নওগাঁর সাংবাদিক বেলাল হোসেনকে (মোহনা টিভি) ফোন করা হলে তিনি তাদের সাংবাদিক পরিচয় নিশ্চিত করেন। কিন্তু ভুক্তভোগীদের আনীত চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলা না করায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানান, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765