1

সম্রাট ও এনামুলের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত সদ্য বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া এ দুই নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পৃথক দুটি মামলা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদক সূত্র জানায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। অপরদিকে এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মামলায় দুই কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আরমানের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

গত ১৫ অক্টোবর ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। একই দিন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এনামুল হক আরমানকে মাদক আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। একই দিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। আর কুমিল্লায় অভিযানের সময় যুবলীগ নেতা আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়ায় সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। তার কাছে ১৪০টি ইয়াবা পাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে র‌্যাব। আর ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মাদক আইনের মামলায় সম্রাট ও আরমান দুজনকে এবং অস্ত্র মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়।