শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন




সংবাদ সম্মেলনে অপপ্রচার বন্ধের দাবি কয়রা ছাত্রলীগ সভাপতির

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯
খুলনা প্রেস ক্লাবে কয়রা ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ও তা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু খুলনা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আজ অবধি কোন বিতর্কিত কাজের সাথে লিপ্ত হই নাই। কোন মারামারি বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। বরং আমি কয়রায় ছাত্রলীগের নিষ্ক্রিয় রাজনীতিকে সক্রিয় করেছি। বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতি চাঙ্গা হওয়ায় আমার প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি যখন জানতে পেরেছি উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম গত ১৫ জুলাই (সোমবার) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চক্রান্ত হিসাবে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অসত্য, বানোয়াট, কল্প-কাহিনী উপস্থাপন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ১৪ জুলাই (রোববার) সন্ধ্যায় উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলামের নিজস্ব একটি অফিসে হাফিজুল ও এনামুলের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জের ও পারিবারিক কোন্দলের কারণে মারামারির সূত্রপাত হয়। পরে কাজল এসে মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। ঘটনার সময় আমি আমার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কয়রা সদরে থাকায় উক্ত মারামারির বিষয়ে কিছুই জানিনা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম আমার সম্পর্কে বিভিন্ন কল্প-কাহিনী সাজিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ জুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সম্মানিত সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর যৌথ স্বাক্ষরে আমি কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আজ অবদি কোন বিতর্কিত কাজের সাথে লিপ্ত হই নাই। এর আগে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি  খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমি উপ-অর্থ সম্পাদক মনোনীত হই। আমার পিতা এস এম হযরত আলী বর্তমানে কয়রা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আমার মাতা ছালমা আক্তার দীর্ঘদিন কয়রা সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা ও ৭টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অবগত আছেন এবং তারা আমাকে চিনেন এবং জানেন। আমি বর্তমানে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাসেলর অফ ল’ (অনার্স) শাখার শিক্ষার্থী। যার প্রত্যয়নপত্র ও কলেজ আইডি কার্ডের কপি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।

শরিফুল বলেন, যুবলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে আমার সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন মানুষ আমার কাছে ৮৬ লক্ষ টাকা পাবে। অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়াও অভিযোগ করেছেন যে আমার নামে কয়রা থানায় ৮ টি জিডি রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমার বিরুদ্ধে থানায় কোন ডিজি বা মামলা নেই, এটা ষড়য়ন্ত্রের একটি অংশ। ছাত্রলীগ নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। এটা চলমান বিষয়। একটি বিশেষ মহল নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এ ধরণের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে আমি মনে করি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম (বাগালী),সাধারন সম্পাদক মো. হাদিউজ্জামান রাসেল প্রমূখ।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765