1

শেষটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

জয় দিয়ে আসরটা শেষ করার আশা ছিলো সবার। দারুণ সুযোগও এসেছিলো মাঠের লড়াইয়ে। বোলাররা দারুণ শুরু এনে দিলেও ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবিতে আশার হালে পানি পায়নি টাইগাররা। পাকিস্তানের অসম্ভব সমীকরণ থামিয়ে ৩১৫ রান করতে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ-মিরাজরা। কিন্তু তামিম, সৌম্য, লিটন, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশও গুটিয়ে যায় ২২১ রানে। জ্বলে উঠেছিলেন পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি। তার ৬ উইকেটের কাছেই ৯৪ রানে হেরে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের মধ্যে সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করলো মাশরাফিরা।
৩১৬ রানের লক্ষে খেলতে নেমে দলীয় ২৬ রানে সৌম্য সরকার ফেরার পর স্কোর বোর্ডে ৪৮ রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। পুরো আসরের মতো বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। মুশফিককে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করে ৩০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিকও (১৬)।
পাকিস্তানি পেসারদের মধ্যে নবাগত তারকা শাহিন শাহ আফ্রিদির বল যথেষ্ট ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তিনি একাই শিকার করেছেন ৬টি উইকেট। একে একে তুলে নিয়েছেন তামিম, সাকিব, লিটন, মাহমুদউল্লাহ ও সাইফউদ্দিনকে। লিটন দাস ৩২ রান করে ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যে চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেননি সাকিব নিজেও। লিটন ফেরার ১৮ রান পরে ফেরেন সাকিব। সাকিব আল হাসান ৬৪ রানে ফেরার আগে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় নিজের নাম উঠিয়েছেন। পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ৬০০ রানের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস আর দীর্ঘ হয়নি। মোসাদ্দেক (১৬) কিংবা মাহমুদউল্লাহ (২৯) চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেননি।
লর্ডসের হোম অব ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে দারুণ খেলেন বাবর আজম ও ইমাম উল হক। এ দু’জনের ১৫৭ রানের জুটিতেই ৩১৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছিলো মিকি আর্থারের শিষ্যরা।
বাবর আজম বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শতকের চেয়ে ৪ রান দূরে থাকতেই ফিরে যান। কিন্তু ইমাম উল হক ১০০ রানের ইনিংস খেলে তবেই বিদায় নেন। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ওপেনার ফখর জামান (১৩)। হাফিজ কিছুটা চেষ্টা করে ২৭ রানে ফেরেন মিরাজের বলে। ৬ রানে ক্রিজে থাকা হারিস সোহেলকে তুলে নেন মোস্তাফিজ।
বল হাতে এদিন দারুণ ফর্মে ছিলেন সাইফউদ্দিন, মিরাজ ও মোস্তাফিজ। মিরাজ ১টি উইকেট পেলেও ১০ ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ৩০। মোস্তাফিজ ৫টি ও সাইফউদ্দিন ৩টি উইকেট নেন। মোস্তাফিজ লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম উঠিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান আজ ওয়ানডেতে নিজের শততম উইকেটটি পেয়েছেন। মাত্র ৫৪ ম্যাচ খেলে ১০০টি উইকেট নিয়ে পঞ্চম দ্রুততম শত উইকেট শিকারী এখন ফিজ।