1

শেরপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ; পলাশকে খুঁজছে পুলিশ

প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী পলাশ পোদ্দার (৪৫) কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি গত দুদিন ধরেই শেরপুরের টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ পলাশ পোদ্দারকে গ্রেফতার করতে না পারলেও ধর্ষণে সহযোগীতার অভিযোগে (পলাশের কর্মচারি) এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। ওই দম্পতির নাম সোহান-মৌসুমি।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে পলাশকে খুঁজছে বলে দাবি পুলিশের। পলাশ শেরপুরের নারায়ণপুর এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে ১০ বছর ধরে ভারত ভূটান শ্রীলংকার সাথে পাথর কায়লার ব্যবসা করেন।

জানা গেছে, গত ১৮ আগষ্ট রবিবার দুপুরে পলাশ পোদ্দার সোহান-মৌসুমি দম্পতির সহযোগীতায় শহরের গৃর্দা নারায়ণপুরের প্রবেশ করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় ওই দম্পতি তখন ঘরের বাইরে পাহাড়া দিচ্ছিল। তবে এসময় ওই ছাত্রীর মা বাড়িতে ছিল না। ভিকটিমের মা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সেবিকার কাজ করেন। এই ঘটনায় লাজলজ্জা ও পলাশের হুমকির ভয়ে মেয়েটি কাউকে কিছু বলেনি।পরের দিন ১৯ আগষ্ট সোমবার দুপুরে একই কায়দায় পলাশ মেয়েটির ঘরে ঢুকে পড়লে মেয়েটি সুকৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর মাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে মা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে পুলিশ রাতেই মৌসুমিকে ও গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মৌসুমির স্বামী সোহানকে গ্রেফতার করে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।

পলাশকে ধরতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, মূল অভিযুক্ত পলাশ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে।পলাশকে ধরতে পুলিশ সম্ভব্য সকল স্থানেই হানা দিয়েছে। শেরপুর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সকল রাস্তায় পুলিশ নজর রাখছে। পলাশ যাতে সীমান্তে পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী ভারতে না যেতে পারে তার জন্য সীমান্তেও অবগতি করা হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।

পলাশের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দুই সন্তানের জনক এই কোটিপতির চলাফেরা ছিল অনিয়ন্ত্রিত। বহুগামী এই ব্যবসায়ীর সাথে অসংখ্য বিতর্কিত নারীদের সখ্যতার কথা এমন মানুষের মুখে মুখে।