1

শেরপুরের বিধবাপল্লীর আরো দুই বীরাঙ্গনা পেলেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবাপল্লীর আরো দুই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন । এরা হচ্ছেন অজুফা বেওয়া ও করফুলি বেওয়া। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তারা।

সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬২তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে শেরপুরের দুই বীরাঙ্গনাসহ ৪৬ জন বীরাঙ্গনাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করে সরকার।

এ নিয়ে শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা দাড়ালো ১৯ জন ও সারাদেশে ৩২২ জন।

এর আগে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুরের ১২ জন, ঝিনাইগাতী উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় ৪ জন ও খৈলকুঁড়া এলাকায় ১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া অন্যান্য বীরাঙ্গনাদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের রবিজান বেওয়া, কিশোরগঞ্জের আমেনা খাতুন, ময়মনসিংহের জয়ন্তী বালা দেবী, দিনাজপুরের উম্মে কুলসুম বেওয়া, ফরিদপুরের আরতী রানী ঘোষ, বরগুনার দিপ্তী রানী পাল, যশোরের মোসা. সালেহা খাতুন, বাগেরহাটের তরু শীল, নাটোরের মালতি, জয়পুরহাটের ফিরোজা বেগম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহিমা বেগম, গোপালগঞ্জের রানী বণিক, বগুড়ার মীরা রানী সরকার, কুমিল্লার বেগম ফুলবানু, মাদারীপুরের চিন্তাময়ী বাড়ৈ ও আরতী রানী সাহা, পিরোজপুরের তারামনি মিস্ত্রী, চট্টগ্রামের চত্মা চক্রবর্তী, রাজশাহীর ফিরোজা বেগম, আঙ্গুরা বেগম, ঝিনাইদহের নিহারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজেরা ওরফে কুটি, দিনাজপুরে শেফালী বেগম, সিরাজগঞ্জের আনোয়ারা বেগম এবং বগুড়ার রহিমা খাতুন বেলী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। এছাড়া সিলেটের কোকিলা বেগম, রেজিয়া বেগম, মায়া বিবি, জয়গুন নেছা, ললিতা নমশুদ্র, শহর বানু, নওগাঁর মায়া বালা, সুষমা বালা, ক্ষান্তা বালা পাল, রাশমনি সূত্রধর, রেনু বালা পাল, সন্ধ্যা রানী পাল, সুষমা পাল, কালী রানী পাল, গীতা রানী পাল ও বাণী রানী পাল এবং নরসিংদীর জোসনা বেগম, হাছিনা ও হাজেরা খাতুন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।