1

শুদ্ধি অভিযান দেশ-বিদেশে প্রশংসিত: কাদের

জনগণের ইচ্ছার বাইরে ক্ষমতায় থাকার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কারো স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলা শুদ্ধি অভিযান সারা দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত’।

তিনি বলেন, দলের কেউ অপকর্ম করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার পর তিনি এসব কথা বলেন।

সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। ইতিমধ্যে সহযোগী সংগঠনগুলোর একাধিক নেতাকে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে কাউকে দেওয়া হয়েছৈ অব্যাহতি।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘তবে তাকে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা নেত্রীর নির্দেশ। সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সম্মেলনের কাজ করবে’।

দলীয় সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, ‘জাতীয় কাউন্সিল আসছে। সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। কাউকে আমরা রিটায়ারমেন্ট দিই না, দায়িত্বে পরিবর্তন হয়। শক্তিশালী দল ছাড়া শক্তিশালী সরকার হয় না। দলকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত সম্মেলন দরকার।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, আপনারা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিন। আমরা তারিখ পরে জানাব। সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে, সম্ভাব্য তারিখ জেনে আমরা সম্মেলনের তারিখ জানাব। প্রার্থী বিষয়ে নেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বসন্তের কোকিলদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা রাখার পার্টি নয়।

তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে নিজেদের অ্যালায়েন্সের কেউ কেউ উল্টাপাল্টা কথা বলেন। সরকারকে দুর্বল ভাববেন না। সততার ভিত্তির ওপর, জনগণের ইচ্ছার ওপর নেত্রী দাঁড়িয়ে আছেন’।