সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন




‘শীতকাল মুমিনের জন্য ইবাদতের বসন্তকাল’

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯
Muslim worshippers pray around the Kaaba, Islam's holiest shrine, at the Grand Mosque in Saudi Arabia's holy city of Mecca on August 16, 2018, prior to the start of the annual Hajj pilgrimage in the holy city. Muslims from across the world are gathering in Mecca in Saudi Arabia for the annual hajj pilgrimage, one of the five pillars of Islam. / AFP PHOTO / AHMAD AL-RUBAYE

ঋতুচক্রের পরিক্রমায় আসছে শীত। ঈমানদারের জন্য শীতকাল বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। হাদিস শরিফে আছে, শীতকাল মুমিনের জন্য ইবাদতের বসন্তকাল। আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শীতল গণিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৯৫)

 

শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। তাই শীতকালে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় না। সুতরাং শীতকালের অন্যতম করণীয় হলো, কারো যদি কাজা রোজা বাকি থাকে, তাহলে শীতকালে সেগুলো আদায় করে নেওয়া। নফল রোজা রাখারও এটি ভালো সময়।

শীতকালে মুমিন বান্দাদের আরেকটি কর্তব্য হচ্ছে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বছর ঘুরে আসে শৈত্যপ্রবাহ। হাড়-কাঁপানো শীতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। পবিত্র কুরআন মাজীদে আছে, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে।’ (সুরা : দাহার, আয়াত : ০৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে মুমিন অন্য বিবস্ত্র মুমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল, মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৪৯)

শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। কেউ চাইলে পূর্ণরূপে ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়তে সক্ষম হতে পারে। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা : সাজদাহ, আয়াত : ১৬)

শীতকালে অজু ও গোসলের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। শীতকালে মানুষের শরীর শুষ্ক থাকে। তাই যথাযথভাবে ধৌত না করলে অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় হয় না। আর অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় না হলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। তাই এ বিষয়ে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে; এমনকি শীতের মৌসুমে গরম পানি দিয়ে অজু করলেও সওয়াবে কমতি হবে না।

অজুর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমি কী তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, যার কারণে আল্লাহ পাপ মোচন করবেন এবং জান্নাতে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? সাহাবারা বললেন, জি হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! মহানবী (সা.) বললেন, ওই কাজগুলো হলো—মন না চাইলেও ভালোভাবে অজু করা, বেশি পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫১)

অন্যান্য ঋতুর মতো শীতের শুদ্ধাচার মেনে চলাও মুমিন বান্দাদের কর্তব্য।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765