1

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের শিমুলিয়া ঘাটে শনিবার সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি ঘাটেও উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সময় বৃদ্ধির সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে।

শনিবার সকাল থেকে এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো.নাসির।

সংস্থাটির শিমুলিয়া ঘাটের এই সহকারী মহাব্যবস্থাপক জানান, শুক্রবার থেকে নৌরুটের পরিস্থিতি ভাল থাকায় ফেরি চলাচলে কোন সমস্যা হচ্ছে না। তবে মূল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় একটু বিলম্ব হলেও যানবাহন পারাপার অব্যাহত আছে। শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিমুলয়া ঘাটে পদ্মা পাড়ি দিতে ৮ থেকে ৯ শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি অপেক্ষায় রয়েছে।

সকাল থেকে আবহাওয়া ফেরি চলাচলের জন্য উপযোগী জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আবহাওয়া ভাল থাকলে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা থাকবে না। গাড়ির চাপ থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমে আসবে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার নদীতে তীব্র ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। তবে শুক্রবার সকাল থেকে আবহাওয়া ভাল হওয়ায় নৌরুটের সৃষ্ট সমস্যা এখন আরও নেই। শুক্রবার ১৬টি ও শনিবার সকাল থেকে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে একদিন পরে ঈদ, তাই ঘাটে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। একই সঙ্গে লঞ্চঘাট ও সি-বোট ঘাটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে।’

লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না। এ ছাড়া স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীদের বাড়তি উপস্থিতি আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ অব্যাহত থাকবে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে প্রাইভেটকার ও বাস পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ভোর থেকেই যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া ট্রাকের একটি দীর্ঘ সারি ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী গাড়িকে আগে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, ফেরি চলাচলে বিঘ্ন না ঘটলে গাড়ির চাপ কমে আসবে।