1

শাবিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু ৫ শিক্ষার্থী আটক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাব স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ভর্তি কমিটি এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়।

মঙ্গলবার ‘বি-১’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে আসলে তাদেরকে আটক করা হয় পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।

আটকৃতরা হলেন-বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, শাহজানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের শাকিদুল ইসলাম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মুর্শেদ, বটতলার জাহিদ হাসান এবং রংপুর জেলার পাকমোড়ের রিয়াদুল জান্নাত। তাদেরকে জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম কৌশিকেও আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জানান, বগুড়া কেন্দ্রীক একটি চক্রের সাথে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার চুক্তির মাধ্যমে তারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বপঘআ এক শিক্ষার্থী সহযোগিতা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে সেও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। তারা সবাই ৭৫ নম্বর সেট কোড ভরাট করেছিল। এদের সেট কোডে ওভার রাইটিং হওয়ায় এবং নম্বর কাছাকাছি হওয়ায় আমরা তাদেরকে সনাক্ত করে রাখি এবং ভর্তি হতে আসলে তাদের আটক করি।

রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, ২৬ই অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টায় ‘এ’ ইউনিটের এবং আড়াইটায় ‘বি-১’ ও ‘বি-২’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ক্যাম্পাসসহ নগরীর মোট ৪৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন চারটি পৃথক কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো. শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরেসহ আটক করা হয়েছিল।

তারাও ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রের উত্তর করেছিল বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।