1

শরীয়তপুর পৌরবাসীর প্রতিশ্রুতি ৭৫ ভাগ বাস্তবায়ন করেছি -মেয়র রফিকুল ইসলাম

শরীয়তপুর পৌরসবার যাত্রী শুরু ১৯৮৫ সালে। ৩৪ বছরের পুরনো এ পৌরসভার আয়তন ২৪.৭৫ বর্গকিলোমিটার। ৯টি ওয়ার্ডে মোট জনসংখ্যা ৫৫হাজার ৫শত ৩৫। জন। ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয ও ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত করা হয় শরীয়তপুর পৌরসভা। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্ব সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ পৌর মিনি সুপার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। বিশুদ্ধ পানি, অপ্রশস্ত ও ভাংগাা রাস্তা-ঘাট, জলাবদ্ধতা, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যাত্রী ছাউনি সমস্যা , ডাষ্টবিন সংকট, গনশৌচাগার সংকট, চিত্তবিনোদন, শিশুপার্ক সহ অনেক সমস্যা এখনও রয়েগেছে।

মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, নির্বাচনে জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি মধ্যে পৌর কবরস্থান ছাড়া প্রায় ৭৫ ভাগ বাস্তবায়ন করেছি। বাকীটা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই করবো বলে আশা করছেন তিনি। এমজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যামে মন্ত্রনালয় ২৫ কোটি দিতে চেয়েছিল কিন্তু জমি না থাকার কারনে আমরা উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি। অতি সম্প্রতি নতুনবার্তা২৪ডটকমের মুখোমুখি হন আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হওয়া এই মেয়র।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি গুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ছিল রাস্তা ঘাট উন্নয়ন, জলাবদ্ধা নিরসন। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তাবায়ন করতে পেরেছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের কাজ সন্তোষজনক না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে সব কাজ করতে পারেনি। সে সব কাজ আগামী নির্বাচনের আগেই শেষ করবো। পৌরসভায় বিভিন্ন কাজে ঘুষ-দুনীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন আমি নিজে ঘুষ ও দুনীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার পৌরসভার কেউ ঘুষ-দুনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। এ ধরনের অভিযোগ আসলে আমি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি মনে করি মোটামুটি সফল, আর মানুষের সফলতা ব্যার্থতা নিয়েই মানুষ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার ব্যর্থতা থাকতেই পারে।খাল দখল ও খাস জমি দখল প্রসঙ্গে রফিক বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার মধ্যে যে খাল গুলো প্রবাহমান ছিল সেই খালগুলো পৌরসভার কোন নিজেষ্ব সম্পত্তি না। খাল উদ্ধারের ব্যাপারে উন্নয়ন ও সমন্বয় মিটিংয়ে কথা বলেছি। পাশাপাশি পৌরসভার নিজেস্ব কোন খাস জমি নেই। জমি সংকটের কারনে আমরা উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারিনি। জায়গা অভাবে একটি শিশুপার্ক নির্মান করতে পারিনি।আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়। আমি জনগনের কাছে বলবো। আমি যে উন্নয়নের ধারা শুরু করেছি। উন্নয়নের ধারাটা কে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবং এই শহরটাকে পরিপূর্ন অবকাঠামো ও যুগপযোগী শহর বানানো নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি দেবো। জনগনের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি বলেন, আমি তো দেখেছি স্থানীয় সরকার নির্বাচন গুলোতে হাজার হাজার জনগন লাইন দিয়ে ভোট দিতে যায়। ভোটের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছে এটা ঠিক না। ভোট দিতে মানুষ কেন্দ্রে যায়।সন্ত্রাস, চাদাঁবাজি, ছিনতাই, মাদক, যৌন হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো সামাজিক ব্যাধী। এসব প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সফলতা পাচ্ছি। জলাবদ্ধাতার ব্যাপারে মেয়র বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার বিষেশ করে শান্তি নগর নিরালা এলাকায় এক সময় জলাবদ্ধতা ছিল এখানে ইতোমধ্যে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ড্রেনেজ নিমান করেছি। সেখানে জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে। অন্যন্য যে সব এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে সেখানে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যামে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।তিনি আরো জানান, পৌরসভা মানোন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আমি মনে করি সেবায় তারা খুশি। পৌর ট্যাক্স বিষয়ে বলেন, পৌর ট্যাক্স দিতে জনগনের সচেতনার হওয়া দরকার। জনগত ঠিকমত পৌর ট্যাক্স দিলে রাজস্ব থেকে আমরা উন্নয়ন কাজ করতে পারবো। শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৌরসভার ভিতরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি ভিজিট করে থাকি। মেধারী ছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছরই শিক্ষাবৃত্তি কোঠা চালু করছি। পৌরসভার কর্মী দিয়ে হাসপাতালকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সহাতা করেছি। নিয়মিত পরিস্কার করার জন্য ২জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়েছি। গবীর রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিতে আমি প্রতিনিয়ত সিভিল সার্জনকে তাগিদ দিয়ে থাকি।

মেয়র জানান, ভুমি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে পৌরসভার হাতে দিতে হবে। পাশাপাশি জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন পৌরসভার হাতে দিতে হবে। যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশনের ট্যাক্স বি আর টি এর মাধ্যমেযে রাজস্ব পায় সেখান থেকে একটি অংশ পৌরসভা কে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভুমি উন্নয়ন কর, রেজিস্ট্রেশন কর পৌরসভা যাতে পেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যেহেতু নিজেরা বাজেট করি। পৌরসভার ভ্যাট, ট্যাক্স তুলে যে অংশ সরকারের খাতে জমা করে থাকি । সেটাকা পৌরসভাকে উন্নয়ন করার জন্য ফেরত দিত তবে পৌরসভার অবকাঠামো ও উন্নয়নের দিক থেকে বিরাট ভুমিকা রাখতো।