1

লালমনিরহাটে ৫শ মিটার সড়কের বেহাল অবস্থা

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় সমজিদ পর্যন্ত ৫০০ মিটার পাকা সড়কের প্রায় ৪০০ মিটার খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটি চলাচলে অযোগ্য হওয়ায় পথচারীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

জানা গেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্রের ব্যস্ততম এলাকা বিডিআর গেট থেকে রেল স্টেশনে যাওয়ার এটিই একমাত্র পাকা সড়ক। সড়কটি সর্ম্পনরূপে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে স্টেশনে যাচ্ছেন রেল যাত্রী ও পথচারীরা। এ ভাবে প্রতিদিন রেল স্টেশনমুখী ও ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীরা পড়ছে বিরম্বনায় । একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে ডোবায় পরিনত হয় সড়কটি। কিন্তু এই সড়কের দু’পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস, রেলওয়ে হাসপাতাল ও রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, রেলওয়ে স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সড়কটির মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৬ বছর আগে রেল কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন না থাকায় সড়কটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমান সড়কটি রেলওয়ে অপারেশনাল এলাকার মধ্যে নেই। তাছাড়া সড়কের পাশে রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারগুলোতে কোন রেল কর্মচারী নেই। তাই রেল কর্তৃপক্ষ সড়কটির জন্য কোনো খরচ করতে আগ্রহী নন। তবে শহরবাসীর স্বার্থে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করতে পারে। রেলওয়ের কাছে এ সংক্রান্ত পত্র দিলে অবশ্যই সম্মতি দেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় নামাজ পড়তে আসা মুসলিমদের। আর একটু বৃষ্টি হলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ভাঙ্গাচুরা এ রাস্তায় প্রায় রিকশা, ভ্যান ও চার্জার অটো দুর্ঘটনায় পড়ে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু বলেন, সড়কটি পৌরসভার হলে এতো অবহেলায় পড়ে থাকতো না। এ ব্যাপারে দ্রুত রেলওয়ের কাছে পত্র দেয়া হবে। যদি রেলের কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে সড়কটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে পৌরসভা।