1

লালপুরে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি

ভারতের ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ায় পদ্মা পাড়ের এলাকা নাটোরের লালপুরে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর সব চরের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। এখনও নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের পদ্মার চরে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নিতে খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।

জানা গেছে, ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি লক গেট খুলে দেওয়ার কারণে সোমবার বিকেল থেকেই লালপুরের পদ্মা নদীতে পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে ৩টি ইউনিয়নের ৫-৭টি চরের সমস্ত ফসল তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়ি-ঘরে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত উপজেলা কৃষি বিভাগ ২২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছে।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর সুগার মিলটি চিনি উৎপাদনে যাবে। এই মিলের বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চর থেকে। কিন্তু মিল শুরুর আগ মুহূর্তে চরে থাকা ৪২ একর জমির আখ তলিয়ে গেছে। এতে করে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিলমাড়ীয়া, লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রান চেয়ে চিঠি দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ৫-৭টি চরে বসবাসকারী মানুষরা অন্যত্র সরে গেছে। কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে। আমরা তিনটি ইউনিয়নে আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি, সেখানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহুরুল হক বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে পদ্মার পাকশী পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।