1

লাইক গুনে কি লাভ?

অনেকেই ফেসবুক-টুইটারে পোস্ট দেন। তাতে যদি প্রচুর লাইক, কমেন্ট পড়ে বা শেয়ার হয় তবে ব্যাপক খুশি থাকেন। কারণ, তিনি এতে বুঝতে পারেন তাঁর জনপ্রিয়তা। আশানুরূপ লাইক-কমেন্ট বা প্রতিক্রিয়া না পেলেই তাঁদের বিষণ্নতা পেয়ে বসে। আবার যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট পড়েন তাঁরা বেশি বেশি লাইক-কমেন্ট বা শেয়ার হওয়া পোস্ট পড়েন বেশি। এতে অনেক অগুরুত্বপূর্ণ পোস্টও লাইক-কমেন্টের জোরে ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট কেউ চোখ পর্যন্ত বোলান না। ফলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, এখন জনপ্রিয়তার মাপকাঠি ‘লাইক’। সমস্যা হচ্ছে—লাইক তো কিনতে পাওয়া যায়! অর্থাৎ, অর্থ খরচ করলেই লাইকে ভরে যেতে পারে আপনার পোস্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইক পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি এখন হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। হয়ে উঠেছে বিষাক্ত। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও ইউটিউব লাইক ‘বিষ’ কমাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মানুষের এত দিনের অভ্যাস ‘লাইক’দেখানোর সুযোগ যদি হঠাৎ বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো? উইয়ার্ড অনলাইনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনপ্রিয়তা মাপার পদ্ধতিটিকে লুকিয়ে ফেলার বা অস্পষ্ট করে দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যবহারকারীরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। লাইক গণনা বন্ধ করার উদ্যোগ তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। লাইক না থাকলে এনগেজমেন্ট বা ব্যবহারকারীর সক্রিয়তা কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। কে কত লাইক দিল তা দেখতে না পেয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন।