1

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে শনিবার আসছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

মিয়ানমারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শনিবার কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবে। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে– এমনটাই ধারণা কূটনীতিক মহলের।

শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে এর আগে দ্বিপক্ষীয় একটি চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। সব রকমের প্রস্তুতির পরও মিয়ানমার রহস্যজনক কারণে চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি।

জাতিসংঘ থেকে শুরু করে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব দেশই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চাচ্ছে। চীনের ভূমিকা অস্পষ্ট থাকলেও অতিসম্প্রতি তারাও সবুজ সংকেত দিয়েছে।

১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেবেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। তারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের বোঝাতে আসছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আন্তর্জাতিক সমালোচনা থেকে বাঁচার জন্য মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের এই সফর। বাংলাদেশে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল পাঠাতে চীনেরও একটি ভূমিকা রয়েছে। তারা কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

কুতুপালং আন-রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সেটা হতে হবে মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায়। পূর্ণ নাগরিকত্বসহ তাদের বসতবাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা পেলেই তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে।

কুতুপালং ক্যাম্প-২-এর হেড মাঝি সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে আসবে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের দাবি-দাওয়া মানা না হলে তাদের সফর নিষ্ফল হবে। কারণ, মিয়ানমার একগুঁয়েমি মনোভাব নিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে।