1

রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদ। আটক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত নুর মোহাম্মদকে নিয়ে পাহাড়ের আস্তানায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে ওসি তদন্তসহ ৩ জন পুলিশ আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম আটক মৃত কালা মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদকে (৩৪) নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ের আস্তানায় অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশের ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা, কনস্টেবল আশেদুল, অন্তর চৌধুরী আহত হন।

এরপর পুলিশও আত্ননরক্ষার্থে আধা ঘণ্টাব্যাপী ৪০/৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মোস্ট ওয়ান্টেড একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুর মোহাম্মদকে নিয়ে আস্তানায় অভিযানে গেলে তার বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ ৩ জন আহত হয়। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল হতে উপরোক্ত অস্ত্রাদি ও গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে এই নুর মোহাম্মদের নিহতের খবরে এলাকাবাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। অনেকে মিষ্টি বিতরণ শুরু করেছে।