1

`রিকশা গার্ল’ এর প্রথম পোস্টারে দুরন্ত কিশোরীর মুখ

রঙিন ক্যানভাসে যেন দুরন্ত এক কিশোরীর মুখ। শ্যাম বর্ণের সেই চোখে মুখে যেন না বলা অনেক গল্প। মায়াবী মুখে ভেসে ওঠে এক ‘রিকশা-কণ্যা’র উপাখ্যান। আর এমন একটি চরিত্র ও গল্প নিয়ে অমিতাভ রেজার চলচিত্র ‘রিকশা গার্ল’-এর রঙিন পোস্টার উন্মোচিত হলো।

এরই মধ্যে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে পোস্টারটি যেমন উৎসাহের সৃষ্টি করেছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলেছে কৌতুহল।

আর্ন্তজাতিক মানের এই সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন এরিক জেমস্ এডামস। যৌথভাবে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর এবং জিয়াউদ্দিন আদিল। চিত্রনাট্য করেছেন নাসিফ ফারুক আমিন এবং শর্বরী জোহরা আহমেদ।

চার মাস ধরে পাবনা,গাজীপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে ‘রিকশা গার্ল’ ছবির শুটিং হয়। এর মধ্যে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিতে দেশের প্রথম কোন সিনেমায় শতাধিক বস্তিঘরের সেট তৈরি করা হয়।  ‘রিকশা গার্ল’ নির্মিত হয়েছে মিতালী পার্কিন্সের বেস্টসেলার বই ‘রিকশা গার্ল’ অবলম্বনে।

ছবিতে রিকশা গার্ল নাইমার চরিত্রে অভিনয় করছেন নভেরা রহমান। রিকশাচালক বাবার বড় মেয়ে দুরন্ত কিশোরী নাইমা। মফস্বলে বেড়ে ওঠা স্বাধীনচেতা নাইমার জীবন তার রং তুলির মতই বর্ণিল। নাইমা আলপনা এঁকে যা উপার্জন করে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অভাবের ভেতর দিয়ে চলতে থাকা পরিবারটির দূর্দশা শেষ হয় না ওই আয়ে।

তবে জীবনের হরেক রকমের রঙ মিলেমিশে নাইমার তুলির আঁচড়ে আঁকা হয় সুন্দর সুন্দর আলপনা। একদিন চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে। নাইমার জীবনে আসে নতুন বাঁক। নতুন সব অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে সাহসী পথচলা শুরু হয় তার।

সিনেমাটির পোস্টার সম্পর্কে পরিচালক অমিতাভ রেজা বলেন, ‘রিকশা গার্ল’ চলচিত্রটি আমরা এমনভাবে নির্মাণের চেষ্টা করেছি, যেন আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে এই প্রযোজনা বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে। রিকশা গার্লের পোস্টার উন্মোচন হলো। স্বাধীনচেতা এক নির্ভীক দুরন্ত মেয়ের মুখাবয়বই দেখা যাচ্ছে পোস্টারে। চলচিত্রেও থাকবে এমন একটি চরিত্রের অজানা পথে সাহসী পথচলার গল্প।’

রিকশা গার্ল চলচিত্রের অফিসিয়াল অ্যাকোমোডেসন পার্টনার হিসেবে রয়েছে লেকশোর হোটেল অ্যান্ড স্যুটস।