1

রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বরকে মারপিটের বিচার দাবীতে ইউএনওর কাছে ১০ ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরদের অভিযোগ

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডলকে মারপিটের বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার ১০ ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেনের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডল তালতলা-বেলাই এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন গোলদার। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তপন গোলদারের সামনেই হঠাৎ করে মেম্বর অনিমেষ মন্ডলকে গালিগালাজ শুরু করেন। এতে প্রতিবাদ মেম্বর অনিমেষ প্রতিবাদ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে লাথি মারেন।
এ ঘটনায় সকল ইউপির চেয়ারম্যান, সদস্যরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ সময় পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু, বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ, হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান তপন গোলদার, বাশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব সরদার, জেলা পরিষদ সদস্য অসীত বরণ কুন্ডু, হুড়কা ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে বাশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, তিন বারের নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে এভাবে প্রকাশ্যে মারপিট করা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে তিনি এটা করতে পারেন না। এ ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে আমরা উপজেলা পরিষদের সকল কার্যক্রম বয়কট করবো।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন  বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি দেখছি, উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েক বার ফোন দেয়ার পর এক পর্যায়ে বন্ধ পাওয়া যায়।