রামপালের বগুড়া নদীর উপর ব্রীজ নির্মানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কালক্ষেপনের অভিযোগ উঠেছে। ব্রীজটি নির্মানে ধীর গতির কারনে এলাকার শত শত মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ৩ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ১৩৩ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন ব্রীজটি ২০১৯ সালের ২৯ মে নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়েও এখন পর্যন্ত নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়নি।
রামপাল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০ মিটার লম্বা আরসিসি গার্ডার ব্রীজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আইটি এ্যান্ড জেই জেভি বাস্তবায়ন করছে। গত ২০১৮ সালের ৩০ মে ব্রীজটির নির্মান কাজ শুরু হয়। যা ২০১৯ সালের ২৯ মে‘র মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সময় বাড়ানোর আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপরও বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। নিদৃষ্ট সময় সীমার পরও ৫ মাসের বেশী অতিবাহিত হলেও নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ আসলাম হোসেনের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন কারনে ব্রীজটি নির্মানে সময় ক্ষেপন হয়েছে। ওই বগুড়া নদীটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ড্রেজিং করার কারনে, নদীর উপর ব্রীজ নির্মানে বোর্ডের অনুমতি পাওয়ার জন্য বেশ সময় ব্যয় হয়েছে। এছাড়াও কয়েক বার ভেরিয়েশন করতে ও নদীর তলদেশের বেজমেন্ট ঠিক করতে বেশ সময় লেগেছে। বর্তমানে কোন সমস্যা নেই। পুনরায় আবার সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলাম, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ গুলজার হোসেন জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রীজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পর ও গড়িমসি করছে। সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা জানান, নতুন করে কোন সময় বৃদ্ধি করা হয়নি।