1

রাতের আঁধারে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলো ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশ কার্যত স্থবির হয়ে আছে। ফলে এদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী যারা দৈনিক রোজগারের উপর ভিত্তি করেই তাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ছিলো, এই মুহুর্তে তারা কিভাবে দু’বেলা নিজেদের আহার জোটাবে সেই চিন্তায় দিশেহারা।

এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব ত্রাণ বিতরণ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তিবিশেষ এসব অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগও বরাবরের মতো সারা দেশের সকল ইউনিটের মাধ্যমে এই মানবিক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং অসহায় ও দুঃস্থদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুর গ্রামে প্রায় ৭০ টা পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ নেতা শাহীন চৌধুরী দ্বীপ। এসময় তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ।

রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা এসব খাদ্য সামগ্রী অসহায় পরিবারগুলোর দরজায় রেখে এসেছেন। খাদ্য সামগ্রীর ভিতরে ছিলো- ৪ কেজি চাল, ১.৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ, ৫০০ মিলিলিটার সয়াবিন তেলের বোতল এবং ১টা সাবান।গণমাধ্যমকে এব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগ নেতা শাহীন চৌধুরী দ্বীপ বলেন, আমার বসবাসের এলাকায় অনেক মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র ব্যক্তি আছেন যারা লজ্জার কারণে ত্রাণ সামগ্রী নিতে আসতে পারেন না। তাই নিজের বিবেক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমার এলাকার আশেপাশে যারা আছেন এবং ত্রাণ নিতে আসতে পারছেন না, এমন কিছু পরিবারকে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আজকে যাদেরকে এই খাবার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে, তার ভিতরে একটা লিফলেটও দেওয়া আছে সেখানে আমি আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিয়েছি। এটা এই কারণে যদি কারো খাবার সামগ্রীর প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা যাতে আমার নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

এসময় তিনি সবাইকে নিজ নিজ ঘরে থাকার জন্য এবং বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হবারও অনুরোধ করেন।