1

রাজশাহী পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সেই নেতাকে বহিষ্কার

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে টেনে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের সেই নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে কেন্দ্রে সুপারিশেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ওই জরুরি সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জরুরি সভায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশেরও সিদ্ধান্ত হয়।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, ওই সভায় ঘটনাটি তদন্তের জন্য মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ কুমার রায়কে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়। ওই সভায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীকে ইনস্টিটিউট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য কারিগরি বোর্ডের কাছে রবিবার অফিস সময়ে চিঠি পাঠানোর কথা রয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অধ্যক্ষ নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তারা বর্তমানে এ ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।