ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বজিত দে বলেছেন, মেডিকেল ভিসা ছাড়াই যে কোনো লোক ভারতে চিকিৎসা নিতে পারবেন যে কোনো হাসপাতালে। যে কোনো ভিসায় ভারতের সব হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। তবে বড় ধরনের অপারেশন করাতে হলে মেডিকেল ভিসা লাগবে।
সে জন্য শুক্রবার বন্ধের দিনেও ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস খুলে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসা প্রদানের জন্য।
শনিবার রাতে যশোরে হোটেল জাবের ইন্টারন্যাশনালে জেলা প্রশাসন, কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন সহকারী হাইকমিশনার রাজেস কুমার রাইনা।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান, যশোর কাস্টমস এন্ড এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার মো. আলিম, বেনাপোল কাস্টম হাউস সহকারী কমিশনার উত্তম কুমার, বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর মামুন তরফদার, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, যশোর মোটরপার্টস মালিক সমিতির সভাপতি ঠান্ডু মিয়া, বেনাপোল ল্যান্ড পোর্ট আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, যশোর মোটরপার্টস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ আলী জানান, ভারতের পেট্টাপোলে বনগাঁ মেয়রের অসহযোগিতার কারণে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগে প্রায় ১৫-২০ দিন। ফলে আমদানিকারকদের মোটা অংকের আর্থিক লোকসান হচ্ছে।
ফলে আমদানিকারকগণ বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিভিন্ন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর জেলা প্রশাসক মহোদয় তার পক্ষে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার যাবতীয় সমস্যা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর জন্য ব্যবসায়ীর নিকট অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন এর ফলে সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।
বেনাপোল-পেট্টাপোল বন্দর দিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত যাত্রী চলাচলের বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান বিশ্বজিত দে। সভায় খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস সপ্তাহে দুইদিন চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানির পরিমাণ প্রয় ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।