1

মদ্যপ চালকদের শনাক্ত করতে রাস্তায় হাইওয়ে পুলিশ

মদ্যপ চালকদের শনাক্ত করতে অ্যালকোহল ডিটেক্টর নিয়ে রাস্তায় নেমেছে হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার বেলা ১১ থেকে কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশের রিজিয়ন পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের নির্দেশে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালাতে দেখা যায় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের।

উপ-পরিদশক (এসআই) মহিউদ্দিন আহমদ, সহকারী উপ-পরিদশক (এএসআই) হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম প্রথমবারের মতো তারা এই অ্যালকোহল ডিটেক্টর যন্ত্র নিয়ে অভিযানে নেমেছেন। মুখের বাতাস শুঁকে যন্ত্রটি ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তি মদ্যপ কি না তা শনাক্ত করতে পারে। চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে এ যন্ত্র।
টেকনাফ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা অদ্ভুত এক যন্ত্রের অগ্রভাগ চালকদের মুখে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন অনেকেই। চালকদেরও দেখা যায় মুখে হাসি নিয়ে যন্ত্রটি মুখে ঢুকাতে দিচ্ছেন।

পুলিশ সদস্যরা জানালেন, এটিই অ্যালকোহল ডিটেক্টর। যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা বড় মুঠোফোন সেটের মতো। সামনের দিকে চিকন পাইপের মতো বের হওয়া একটি অংশ আছে। মাদক পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই যন্ত্রের সামনের পাইপ মুখে দিয়ে ফুঁ দিতে হয় চালকদের। এরপর চার সেকেন্ডের মধ্যেই যন্ত্রের মনিটরে ভেসে ওঠে ফলাফল। চালক মদ্যপ হলে শতাংশসহ ইয়েস লেখা ওঠে। আর মদ্যপ না হলে ওঠে না।

ফলাফল ইয়েস হলে সে ক্ষেত্রে ওই চালকের নাম, গাড়ির নম্বর, লাইসেন্স নম্বর ও পরীক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ব্যাজ নম্বর ও দায়িত্বরত ইউনিটের নাম যন্ত্রটিতে লিখে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই চালক ও পুলিশ কর্মকর্তার সব তথ্যসহ একটি প্রিন্ট কপি বের হবে। তখন এই কাগজ দিয়ে মোটরযান আইনের ১৪৪ ধারায় অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

টেকনাফ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রথমবারের মতো টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের হ্নীলা চৌধুরী পাড়া এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনের অর্ধশতাধিক চালককে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোনো মদ্যপ চালক পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, এই যন্ত্র দিয়ে মদ্যপ চালক শনাক্ত করণ অব্যাহত থাকবে।