1

ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণ, চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিচালক আটক

কুমিল্লার লাকসামে ডিজিটাল এ্যাডভাইস সেন্টার নামে একটি বে-সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচালককে আটক করেছে র‌্যাব। ওই সময় র‌্যাব তল্লাশি চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু যৌন উত্তেজক বড়ি, কনডম, একটি কম্পিউটার ও কিছু ভুয়া সনদপত্র উদ্ধার করা করেছে। আটককৃত ওই পরিচালকের নাম মো. মীর হোসেন। তিনি লাকসাম পৌর এলাকার বাইনছাটিয়া গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের ছেলে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, লাকসাম জংশন এলাকার হাজী শাহজাহান মার্কেটে ডিজিটাল এ্যাডভাইস সেন্টার নামের একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক সেজে মো. মীর হোসেন দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া, ওই প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মচারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় গত সোমবার ওই কর্মচারি কুমিল্লা র‌্যাব-১১’র কোম্পানি কমান্ডার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার র‌্যাবের একটি দল ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মচারী সুমিকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র‌্যাব-১১’র কুমিল্লা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই কর্মচারীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. মীর হোসেন ব্যথা নাশক ইনজেকশন দিয়ে এবং বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছে। এ ছাড়া তার আরও কয়েকজন সহকর্মীকেও একইভাবে ধর্ষণ করে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রমের অভিযোগে ইতিপূর্বেও একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে আর্থিক জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করে দেয়া হয়। কিন্তু এতে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের টনক নড়েনি। তিনি এখানে দিব্যি অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কুমিল্লা র‌্যাব-১১’র সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার প্রনব কুমার মুঠোফোনে জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী কর্মচারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. মীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে লাকসাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া, আটককৃত অপর কর্মচারী সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু যৌন উত্তেজক বড়ি, কনডম, একটি কম্পিউটার ও ভূয়া সনদপত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।