1

বোয়ালমারী যুবলীগে ছাত্রদল নেতা, কমিটি প্রত্যাখান

সক্রিয় কমিটি থাকার পরও ছাত্রদল নেতাকে আহ্বায়ক করে বোয়ালমারী যুবলীগের নতুন কমিটি করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে এ অভিযোগ করেন।

চতুল ইউপি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশকাটিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য (ফরিদপুর-১) মনজুর হোসেন এক সময়ের ছাত্রদলের ক্যাডার রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন এনেছেন। যা অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছারিতার নামান্তর।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় যুবলীগ অনুমোদিত কমিটিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কোনো মত নেওয়া হয়নি অভিযোগ করে সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ক্যাডাররা ১৯৯২ সালে বোয়ালমারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে তার একটি হাত পঙ্গু করে দিয়েছিল। আজ তাদেরকে বর্তমান সাংসদ মনজুর হোসেন যুবলীগে পুনর্বাসিত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেঈমানী করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর বোয়ালমারীর যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ঘৃণাভরে এই কমিটি প্রত্যাখান করছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মিশনকে বাধাগ্রস্ত করতে দলছুট ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে করা এই কমিটি নেতাকর্মীরা কোনোদিন মেনে নেবে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদুজ্জামান দাউদ, এমএম শফিউল্লাহ সাফী, সদস্য ওবায়দুর রহমান মৃধা, ওবায়দুর রহমান সর্দার, গোপাল সাহা, ইউপি সদস্য ও কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান, আহসান হাবিব হাসান, মো. রুবেল সিকদার, মাসুদুর রহমান মাসুদ, শেখর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. লোটাস সিকদার প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার দশটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা উপস্থিত ছিলেন।