1

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর বেশিরভাগ সড়ক

এক রাতের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক। বাড়ি ঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি। বিশেষ করে নীচু এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা চরম দুর্দশায় পড়েছেন।

এদিকে শহরের আশ পাশের এলাকায় ডুবে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের, পুকুর, সবজি ও ফসলের ক্ষেত। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েক হাজার মৎস্য চাষী ও কৃষক।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

দেখা গেছে, বৃষ্টিতে বেশিরভাগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা খুবই কম। সকালের দিকে অফিসগামী মানুষের চলাফেরা বেশি থাকলেও বেলা গড়াতেই মানুষের আনাগোনা কমতে থাকে। পেশার তাগিদে বা জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন, জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা বা ইজিবাইক না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

বৃষ্টিতে মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, বাইতি পাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্ণিচার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লাপোতা, শিববাড়ি মোড়, বড় বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর মেঘার মোড়, দৌলতপুর, নতুনবাজার, পশ্চিম রূপসা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোড, লবণচরা বান্দা বাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে হাঁটুপানি। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে।

নগরীর গ্লাক্সো মোড় এলাকার বাসিন্দা ফেরদাউস হোসেন বলেন, পানিতে সবাই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। আশপাশের প্রায় সব ঘরবাড়ির নিচতলা পানিতে তলিয়ে আছে। পানি উত্তোলনের পাম্প মেশিন তলিয়ে আছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে রান্নার অভাবে সদস্যরা সকাল থেকে না খাওয়া। দোকান সব বন্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না।

নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা-আবর্জনা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষসহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতে নগড়জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হন নগরবাসী।

এদিকে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় খুলনাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরো দু’একদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে।