1

বুথে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় ভোটারদের স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে: মৌসুমী

২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২০২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এ নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জায়েদ খান। নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন মৌসুমী। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি। গত হওয়া নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।

নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

নির্বাচনে হারজিৎ থাকেই। সেটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালোই বলব।

নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ আছে কি আপনার?

না আমার অভিযোগ নেই। তবে আমরা চেয়েছিলাম কেউ যেন বুথের ভেতরে মোবাইল না নিয়ে যায়। কিন্তু গতকাল দেখলাম সবাই মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢুকছে। কাকে ভোট দিচ্ছে সেই ছবিও তুলে আনছে। বুথে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় ভোটারদের স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে। ভোট দেওয়ার পর যদি ভোট কাকে দিল সেটা দেখাতে হয় তাহলে তো আর কিছু বাকি থাকল না। এই একটা জিনিস আমার কাছে খারাপ লেগেছে। আর বাকি সব ঠিকই ছিল।

মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢোকার বিষয়টি নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আপনি প্রতিবাদ করেননি?

না। এটা নিয়ে ইলেকশন চলাকালীন আর প্রতিবাদ করিনি। নির্বাচনের দিন এমনিতেই সময় কম থাকে। সবার ভোট দিতে হয়। ফলে এ নিয়ে ঝামেলা করতে চাইনি।

নির্বাচনের পরও ভোট গণনার বিষয়ে আপিল করার সুযোগ থাকে। আপিল করবেন কিনা?

আপিল করার কোনো ইচ্ছে নেই। এমনিতে যদি দু-এক ভোটের ব্যবধানে হারতাম তাহলে আপিল করে বলতাম যে আবার ভোট গণনা করেন, জিতেও তো যেতে পারি। তো ওইরকম ব্যাপার তো হয়নি। অনেক ভোটের ব্যবধান ছিল। ফলে আপিল করিনি।

শুনেছি নির্বাচিত কমিটি তাদের সঙ্গে আপনাকেও যুক্ত করবে। আপনি কি যুক্ত হবেন?

সমিতি যদি আমাকে তাদের কাজের স্বার্থে যুক্ত করতে চায় তাহলে সমিতির স্বার্থে অবশ্যই যুক্ত হব। তাদের ভালো কোনো কাজের উদ্দেশ্যে আমাকে যদি ডাকে তাহলে অবশ্যই যাব। আমার কথা হলো যেহেতু ইলেকশনটা সুন্দরভাবে হয়েছে। প্রত্যেক ভোটার স্বেচ্ছায় ভোট দিয়েছেন। আমার যে দাবিটা ছিল সমিতির সদস্যপদ হারানো বাকি ১১৮জন ভোটারের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক, সেই দাবির সপক্ষে যেহেতু ভোটারদের রায় আসেনি তাই আমি জিততে পারিনি। সেই দাবির সপক্ষে যদি সব ভোটারের রায় থাকত তাহলে আমি জিতে যেতে পারতাম। যেহেতু সমিতির সদস্যরা চাননি আমাকে আবার গুরুজনরাও চাননি, তাহলে আমি কেন নব নির্বাচিত কমিটিকে সমর্থন দেব না। আমিও তাদের সমর্থন দিলাম।

নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন নির্বাচিত না হলেও আপনার ঘোষিত ইশতেহারগুলো নিয়ে কাজ করবেন। হেরে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন?

এটা নিয়ে এখন যারা সমিতিতে আছেন, তাদের বলব। তারা যদি এটা নিয়ে কাজ করতে চান এবং আমাকে সহায়তা করতে বলেন তাহলেই কাজ করতে পারব। শুধু তাই নয়, মিশা-জায়েদ কমিটি যদি চায় তাহলে তাদের পাশেও থাকব।