1

বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা

তাবলিগ জামাতের বিবদমান দু’পক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে সম্মত হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি দু’পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাদ অনুসারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলাদাভাবে ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আগামী ১০,১১ ও ১২ জানুয়ারি সা’দ বিরোধী অংশ টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা আয়োজন করবে। পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭,১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দের অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবি অংশ না নেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া দু’পক্ষই আলাদাভাবে ইজতেমার আগে ৫ দিনের জোড় করবে। তবে তা টঙ্গী ময়দানে করা যাবে না।

কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে গতবছর তা বিলম্বিত হয়।

পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।