1

বাগেরহাটে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

বাগেরহাটে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রাখার দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির বাগেরহাট জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।

 

এসময় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক আনছারী, সিনিয়র সহসভাপতি মতিয়ার রহমান, মোল্লা মুদ্দাসছের আলী, মহিদুল ইসলাম, আ: রাজ্জাক, আরিফ বিল্লাহ, হাবিবুর রহমান, হোসাইন আল আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৮ অডিনেন্স ১৭(২) ধারা মোতাবেক মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজিঃপ্রাপ্ত হয়। রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিষ্ট্রার বেসরকারী প্রাইমারী ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ সনে ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারী প্রাইমারী স্কুল জাতীয়করণ করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সকাল ৯ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণী শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারের সকল কাজে অংশগ্রহণ করে। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকরা ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোন বেতন ভাতা পায় না। তবুও তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অর্থ বরাদ্দের জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।