1

বাগেরহাটে মামলাবাজের হাত থেকে বাঁচতে এলাকাবাসির সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক মামলাবাজের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসি। শনিবার দুপরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আহুত এই সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাঁধাল ইউনিয়নের বিলকুল গ্রামের লুৎফর রহমান নকীব ওরফে লাল স্বাধীনতা যুদ্ধ ও তার পরবর্তি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ডাকাতির রেকর্ড করেছেন যা তার এলাকার সর্বজন জানে। এরপরও তিনি কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন। তিনি ১৯৭৩/৭৪ সালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের বৌলতলী নাজিরদিয়া গ্রামের ধলু শিকদারের মেয়ে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৮৫ সালের দিকে ডাকাতি পেশা ছেড়ে দিলেও মানুষ তার হাত থেকে মুক্তি পায়নি। এরপর তিনি এলাকার গরিব মানুষের জমি জবর দখল ও হয়রানী শুরু করেন। জীবিকার তাগিদে এই এলাকার মানুষ জেলার বাইরেও কাজের সন্ধানে যান। আর সেখান থেকে ফিরে দেখেন তাদের জমি দখল করে নিয়েছে ওই লুৎফর রহমান নকীব ওরফে লাল ডাকাত। আর প্রতিবাদ করলেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই পর্যন্ত মামলাবাজ লুৎফর রহমান নকীব ওরফে লাল ডাকাত এলাকার গরিব অসহায় মানুষগুলোর নামে ৮৩টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আর এর অধিকাংশ মামলাই আদালত অসহায় নিরিহ এসব আসামীদের খালাস দিয়েছে। শুধু তাই নয় এই এলাকার সরোয়ার শিকদারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করায় বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের দুইজন আইনজীবীর নামেও তিনি মিথ্যা চাঁদাবজি মামলা দিয়েছিলেন। কিছু দিন আগে তিনি একটি সরকারী রাস্তা দখল করে সেখানে বেড়া দিয়েছেন ও মাটি কেটে ফেলেছেন। ফলে ১০টি পরিবার গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে। এলাকায় তার শালিস-বিচার কেউ করতে চান না। কারণ তিনি কাউকেই মানেন না। শুধু একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাই তার কাজ। আর এসবের প্রধান হাতিয়ার তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এই হাতিয়ারকে ব্যবহার করে প্রশাসনের থেকে বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে স্টিম রুলার চালাচ্ছেন সাধারন মানুষের উপর। তিনি মুক্তিযোদ্ধা বলে সব ধরনের নৈতিক-অনৈতিক সুবিধা নিলেও বৈলতলী নাজিরদিয়া গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুরের পরিবারটিও তার নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। নিরুপায় হয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুরের স্ত্রী বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এসময় ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লুৎফর রহমান নকীব তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।