1

বাগেরহাটে দুই মাসেও শেষ হয়নি ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই, সচেতন মহলে ক্ষোভ

বাগেরহাটে ফি মুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স এর জন্য ভাতাভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের তথ্য যাচাই দুই মাসেও শেষ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ যখন এগিয়ে গেছে তখন এমন ঘটনায় ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের একটি রিভলবার ও একটি দোনালা বন্দুক রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি মওকুপ সংক্রান্ত স্বরাস্ট মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে তিনি তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি মওকুপের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। গত ১১ নভেম্বর করা এই আবেদনের যাচাই কাজ প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনও তা শেষ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের ১১ নভেম্বর করা এই আবেদনটি ২৪ নভেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। পরে সেটি যাচাই করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।

বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি একজন গেজেটভুক্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্র ফি মুক্ত ঘোষনা করেছে সরকার। আমার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের সময় বিষয়টি জানানে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে আবেদন করতে বলা হয়। আমি সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করি। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমি মুক্তিযোদ্ধা কি না তা যাচাই করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কাছে পাঠানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে মাত্র একটি ক্লিকে যেখানে সবকিছু যাচাই করা সম্ভব। সেখানে দিনের পর দিন আমাকেই ঘুরারো হচ্ছে, এটা এক ধরনের হয়রানি, আমাদের জন্য অপমানকরও বটে। সাধারণ মানুষের অবস্থা তাহলে কি হচ্ছে? এটা খুবই দুঃখজনক।

জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল বাকী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের সময় তাকে যে হয়রানী করা হয়েছে তা দুঃখজনক। সরকারী সুবিধা দিতে একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এবিষয়ে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সকল কর্মকর্তা উচিৎ বলে মনে করেন জেলার এই জৈষ্ঠ সাংবাদিক।

বাগেরেহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এই বিষয়টিতে এতো সময় লাগার কথা নয়। নিশ্চয় কোন অনুবিধা আছে। বিষয়টি তাঁকে (বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমান) আগামী কাল অফিসে পাঠালে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।