1

বাগেরহাটে কৃষকের পাশে দাড়িয়ে ধান কেটে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ

করোনাভাইরাসের কারণে বাগেরহাটে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এতে কৃষক বোরো ধান ঘরে তুলতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষিদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন বাগেরহাটের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে ৩০ জনের একটি দল নিয়ে সদর উপজেলার ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের পশ্চিম সায়েড়া বিলের কৃষকদের পাকা ধান কাটার মাধ্যমে ব্যতিক্রমধর্মী এই কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ মনি, সহ-সভাপতি শেখ মোজাম, সাধারণ সম্পাদক মুকুল মল্লিক, শেখ আহম্মেদ আলী, রুহুল আমীন বাবু, আক্তার বিল্লাহ, আছাদ হাওয়াদারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পর্যায়ক্রমে সবকটি ইউনিয়নের আরও অনেক চাষির ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা।


সায়েড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, আকাশে মেঘ হওয়ায় শ্রমিক সংকটের কারনে ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংকায় ছিলেন তিনি। এসময় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ তার পাশে এসে দাড়ানোয় এই দূর্দশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান আহম্মেদ মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নির্দেশনায় তারা ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে তুলে দিচ্ছেন। একই সাথে এলাকার যুবক ও তরুণদের এই কাজে উৎসাহ প্রদান করছেন। পর্যায় ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে গিয়ে এইভাবে ধান কেটে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যার লক্ষমাত্রা ২ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিকটন ধান। জেলার একলাখ কৃষক পরিবার বোরো আবাদের সাথে জড়িত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কৃষকরা পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ছে। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভর্তুকিমূল্যে ৭৩টি রিপার ও ৩টি কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে।