1

বাগেরহাটে কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মাদার সহায়তা প্রকল্পের উপকারভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

বাগেরহাট পৌরসভার দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মা‘দের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প “কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের” উপকারভোগীদের নিকট থেকে ব্যাংক হিসাব খোলার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে সংশ্লিষ্ট কাজে বাগেরহাট মহিলা অধিদপ্তরের সহযোগী কয়েটি এনজিও এসব উপকারভোগীদের কাছ থেকে এসব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ফলে সরকারের মহতি এই উদ্যেগের প্রতি সাধারন মানুষের নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নং কাউন্সিলর মাসুম মেখ জানান, তার ওয়ার্ডের উপকার ভোগীদেও ব্যাংক হিসাব খোলার কথা বলে সাড়ে তিন‘শ থেকে চার‘শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক।
বাগেরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল বাকি জানান, তার ৬নং ওয়ার্ড থেকেও উপকারভোগীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়া ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডেও মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন বলেন, কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের জেলা কমিটির মিটিং-এ এনজিওকে সম্পিক্ত না করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এসব এনজিও এভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এই কাজে সহায়তা করছে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পতিত পাবন রায়।
এবিষয়ে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনা হেনা বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এনজিও নিয়োগ করা হয়েছে। উপকারভোগীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। কারো অর্থ নেয়ার প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জানতে চাইলে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান জানান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি অসাধু চক্রের সহযোগীতায় এনজিওগুলো উপকারভোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাছাড়া উপকারভোগীদের তালিকা তৈরিতেও পৌরসভার নির্দেশনা মানা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।