1

বাগেরহাটের ফকিরহাটে নবান্ন উৎসব ও শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটের ফকিরহাটে নবান্ন উৎসব ও শস্য বকর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফকিরহাট উপজেলার অর্গানিক বেতাগা এলাকায় এই অনুষ্ঠিত শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে প্রথান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ।

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাহানাজ পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রঘুনাথ কর, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রহিমা সুলতানা বুসরা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুস্তহীদ সুজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তহুরা খানম, উপজেলা মৎস্য অফিসার অভিজিৎ শীল, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইদা দিলরুবা সুলতানা, উপজেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক শিরিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান কাজি মোঃ মহসিন, খান শামীম জামান পলাশ, মোঃ রেজাউল করিম ফকির, এ্যাডঃ হীটলার গোলদার, শেখ শহীদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ইউনুচ আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তন্ময় দত্ত, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার নয়ন কুমার সেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ কুমার মন্ডল, সোলায়মান আলী মন্ডল, বিপুল কুমার পাল, বিপ্লব দাশ, নীল রতন রায়, তানিয়া রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি অফিসার নাছরুল মিল্লাত।


বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ হেমন্তের লাল- গেরুয়া রঙটি দেখতে পেতেন না। তাই তার গানে-কবিতায় হেমন্তকাল তেমন আসেনি। কিন্তু জীবনানন্দের কবিতায় হেমন্ত ঘুরে ফিরে এসেছে। বাংলার গাছপালা, লতাগুল্ম , মেঠোচাঁদ, নদী-নিসর্গের অপরূপে মুগ্ধ কবির কাছে হেমন্ত মানে অঘ্রাণ- তাঁর কাছে কার্তিকের চেয়ে অগ্রহায়ণ ঢেরবেশি উজ্জ্বলতর। তিনি লিখেছেন : ‘ অশ্বত্থ পড়ে আছে ঘাসের ভিতরে/ শুকনো মিয়ানো ছেঁড়া, অঘ্রান এসেছে আজ পৃথিবীর বনে;/ সে সবের ঢের আগে আমাদের দুজনের মনে/ হেমন্ত এসেছে তবু;’ ( অঘ্রান প্রান্তর, বনলতা সেন) অগ্রহায়ণ মানেই ‘আমন’ ধান কাটার মাস। ‘ বাংলার শস্যহীন প্রান্তরে’ যখন ‘গভীর অঘ্রান’ এসে দাঁড়ায়, তখন উসবের রঙ ছড়িয়ে পড়ে বাংলার আকাশ-অন্তরীক্ষে। ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলি বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। কিষাণ-কিষাণীর প্রাণমন ভরে ওঠে এক অলৌকিক আনন্দে। বর্ষায় রোয়া ‘আমন’ ধান অগ্রহায়ণ মাসে কাটা হয়। আর ধান কাটা উপলক্ষে গ্রামের ঘরে ঘরে আয়োজন করা ‘নবান্ন উৎসব’।

তারা বলেন, নবান্ন উৎসব ঘিরে বর্ণাঢ্য যে আয়োজন তাতে আমাদের আবার ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। হারাতে বসা অনেক খেলা এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে।

 

নবান্ন উৎসবে হাড়ি ভাঙ্গা, তৈলাক্ত কলাগাছে চড়া, হাস ধরা, লাঠি খেলা, পালকির গানসহ বিভিন্ন গ্রামীন খেলা প্রদর্শন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়ে।
অনুষ্ঠানে ফকিরহাট উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃতি চাষীসহ সুশিল সমাচের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।