1

বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির আরো পতন

বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ভারতীয় রুপির আরো দরপতন ঘটেছে। এক সপ্তাহে রুপির তুলনায় বাংলাদেশি টাকার মান বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

শুক্রবার এক ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর ছিল ৭৩ দশমিক ৬৬। যেখানে বাংলাদেশি ৮৩ টাকায় এক ডলার পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক মাসে রুপির মান কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশি ১০০ টাকায় বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ রুপি। টাকার পরিবর্তে রুপির দর এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।

সোমবার ঢাকায় ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ পয়সা। বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলে মিলছে ভারতের ৮৬ রুপি। যা ১৯৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সর্বনিম্ন।

বেনাপোল চেকপোস্টে ভারতীয় ব্যবসায়ী দিপক কুমার বলেন, ডলারের বিপরীতে রুপির যে হারে অবমূল্যায়ন হয়েছে, সে হারে টাকার অবমূল্যায়ন হয়নি। যার কারণে রুপির মান টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। ফলে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে কিছুটা সুবিধা হলেও ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের দাম বেড়ে চাহিদা কমবে।

তিনি বলেন, এ ছাড়া তেলের উচ্চমূল্যের কারণে ভারতীয় মুদ্রা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। তবে এখনো ভারতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, সারা পৃথিবীতে মুদ্রার বাজারে যে উথাল-পাথাল চলছে তাতে বাংলাদেশি টাকা ডলারের বিপরীতে বেশি রেজিলিয়েন্স বা দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছে বলেই রুপির তুলনায় টাকার দর বেড়েছে। এই প্রবণতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে ভারতের আমদানি পণ্য আরো বাড়বে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবে তাদের সুবিধা হবে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রী মামুনুর রহমান জানান, ভারতে ডাক্তার দেখাতে বা দর্শনীয় স্থান ও তীর্থস্থান ভ্রমণের জন্য যারা যাবেন তাদের জন্য এটা সুখবর। কারণ টাকা বদলানোর পর তাদের হাতে নগদ রুপি এখন অনেক বেশি আসবে। ভ্রমণকারীরা এক ডলারের আগের তুলনায় বেশি রুপি পাবেন। এতে পণ্য কেনাকাটায় খরচ কম লাগবে।

তিনি জানান, এ বছরের গোড়ার দিকে কোনো বাংলাদেশি ভারতে ১০ হাজার টাকায় যে পণ্য কিনেছেন সে একই পণ্য এখন কিনতে তার অন্তত এক হাজার টাকা কম লাগবে।