বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন




বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি নাসির উদ্দিনের যত অনিয়ম

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (বশেমুরবিপ্রবি) পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন। অনার্স মাস্টার্সে দ্বিতীয় বিভাগ পেলেও নিজের ভাতিজা নিয়োগ পেয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের ক্ষমতার এমন অপব্যবহারে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের লাগামহীন আন্দোলন। স্থবির গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও। এরমাঝে নতুন করে যুক্ত হয়েছে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের নানা অনিয়ম।

অভিযোগ মিলেছে, ভাতিজা খন্দকার মাহমুদ পারভেজ শিক্ষা জীবনে ৩য় শ্রেণি নিয়ে ২০১৬ সালে নিয়োগ পান সেকশন অফিসার পদে। একবছরের মাথায় তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর অনিয়ম করে পারভেজকে পদোন্নতি দিয়ে করা হয় সরকারী অধ্যাপক হিসেবে। এরবাইরেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের পরিবারের ও আত্মীয়দের মধ্যে অন্তত ২৪ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ আছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যোগ্যতা সম্পন্নদের না বসিয়ে তিনি তাঁর পছন্দের লোকদের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষক মো: সোলায়মান হোসেন বলেন, বর্তমান ভিসি স্বজনপ্রীতির সর্বচ্চো সীমা অতিক্রম করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এতে শিক্ষার পরিবেশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার মাহমুদ পারভেজ বলেন, ভিসি মহোদয়ের বিরোধীরাই এসব কথা বলছে। যারা এখন ভিসি স্যারের বিরুদ্ধে বলছেন তারাও এক সময় নানা রকম সুবিধা গ্রহন করেছেন বলে দাবী করেন এই শিক্ষক। উপাচার্যের নামে আনিত অভিযোগ গুলো ভিত্তিহীন দাবি করেন খন্দকার মাহমুদ পারভেজ। একই সাথে সংবাদ সংগ্রহে অসৌজন্যমুলক আচরনও করেন তিনি।
গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহম্মেদ জানান, নিয়োগ ও পদোন্নতির ব্যাপারে বাছাই বোর্ড ও রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়। উপাচার্যের দপ্তর শুধুমাত্র অফিস আদেশে রুপান্তর করেন।
সুজন-এর গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ভিসির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পর পদে বহাল থাকা ঠিক নয়।
এদিকে, উপাচার্য পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765