1

বজ্রপাতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতে একদিনে ১১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে এসব প্রাণহানি ঘটে। পাবনার বেড়ায় মারা গেছেন দুই ছেলে ও বাবাসহ চারজন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাবা-ছেলে এবং নেত্রকোনার কলমাকান্দায় এক যুবকের প্রাণ গেছে। ময়মনসিংহে নিহত হয়েছেন তিনজন আর মাগুরায় মারা গেছেন একজন। জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

পাবনা প্রতিনিধি জানায়, পাবনার বেড়া উপজেলায় বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ চার কৃষক নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পাচুরিয়া গ্রামের মোতালেব সর্দার, তার দুই ছেলে ফরিদ সর্দার ও শরিফ সর্দার এবং একই গ্রামের রহম আলী। তারা বাড়ির পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে পাট জাগ দিচ্ছিলেন বলে জানান বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী। তিনি জানান, আকস্মিক বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামে বৌলাই নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে হারিদুল (৪৫) ও হারিদুলের ছেলে তারা মিয়া (১০)।

দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাব উদ্দিন জানান, সকালে একটি ছোট নৌকায় বাবা-ছেলে মিলে বৌলাই নদীতে মাছ ধরতে যায়। পৌনে ৯টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

তাহিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন কান্তি রায় বলেন, মানিকখিলা গ্রামে বজ্রপাতে বাবা-ছেলে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন এনামুল হক। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তবে বজ্রপাতে এনামুলের সঙ্গে থাকা গরুটির কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ ব্যুরো ও ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় বজ্রপাতে পয়ারী ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন (৪০) ও বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামের খামার ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (২২) নিহত হয়েছেন। ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বড়বিলা এলাকায় চৈত বর্মণ (২২) বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় তার সহোদর মনীন্দ্র বর্মণ (২৪) আহত হন। ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি জানান, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ধোয়াইল গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় বজ্রপাতে মাজেদ মন্ডল (৪০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।

বাড়ির পার্শ্ববতী বিলের একটি ক্ষেতে ধানের চারা রোপন করে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তিনি বড়রিয়া রিজিয়া-রুবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং উপজেলার ধোয়াইল গ্রামের দরবেশ মন্ডলের ছেলে।