1

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

বঙ্গোপসাগরে এখন জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। সাগরে ৬৫ দিন সব ধরনে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর দিন ২৪ জুলাই সকাল থেকে জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে- ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত দু’দিন ধরে সমুদ্রে থাকা ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো আসতে শুরু করেছে বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারে। আর এ কারনেই কেবি বাজারের জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই খবরে বাগেরহাটসহ উপকূলের জেলে পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দের বন্য। তারা ভূলে গেছে সাগরে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা কালে মানবেতর জীবন-যাপনের সেই যন্ত্রনার কথা।

বৃহস্পতিবার সকালে কেবি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত দু’দিনে দিনে সাগর থেকে ইলিশ বোঝাই করে ফিরেছে প্রায় ২০টি ফিশিং ট্রলার। ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি এসব ট্রলার কেবি বাজারের সামনে দাড়াটানা নদীর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য আড়ত কেবি বাজারে এখন ইলিশের পর্যাপ্ত সরবারহ থাকায় মাছের দাম কমেগেছে। কেবি বাজারে ৪৫০ শত থেকে ৫০০শত গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ শত টাকা থেকে ৫৫০শত টাকায়। ৮ শত থেকে ৯ শত গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকা থেকে ৯ শত টাকা করে। এছাড়া এক কেজি বা তার উর্ধ সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২ শত থেকে ১৪ শত টাকায়।
কেবি ঘাটে এফবি ফিশিং ট্রলারের জেলে রফিক হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে। অবশেষে আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ইলিশ বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, বাজারে ইলিশের সরবারহ ভালো। দামও অনেক সন্তা। আগামী সপ্তাহে ইলিশের দাম আরও কমে যাবে।
বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আলহাজ আবেদ আলী জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ২৪ জুলাই ভোরে সমুদ্রে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ আহরণ শুরু করে। গত দুই দিনে সুন্দরবনের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। গত দু’দিনে ইলিশ বোঝাই প্রায় ২০টি ট্রলার কেবি বাজারের সংলগ্ন ঘাটে নোঙ্গর করেছে। দীর্ঘ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছে, অবশেষে নিষেধাজ্ঞা থেকে জেলেদের জালে মাছ পড়তে শুরু করছে। জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছের সাইজও মোটামুটি ভালো, তবে নিয়োমিত বর্ষা হলে আরও ভালো সাইজের বড় বড় ইলিশ ধরা পড়বে বলে তিনি জানান।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. খালেদ কনক বলেন, বঙ্গোসাগরে ৬৫ দিনের সব ধরনের মাছ আহরণে মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার সুফল জেলেরা পেতে শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরে এখন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে। আগামীতে জেলায় ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে বলে জাানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।