1

পুলিশকে না জানিয়ে মামলা আপস করায় নববধূকে মারধর

বগুড়ার গাবতলীতে পুলিশের মারধরে এক নববধূর আহত হওয়ার ঘটনায় গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়াকে বগুড়া পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ক্লোজড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে না জানিয়ে আসামির সঙ্গে আপস করায় মনিরা আক্তার কেমি (১৮) নামের ওই নববধূকে মারধর করেন রিপন মিয়া। কেমিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিত্সাধীন কেমির দাবি, পারিবারিকভাবে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা আপস করে তাকে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন মিয়া। রবিবার রাতে তিনি কেমির স্বামীর বাড়ি গিয়ে প্রথমে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং পরে বেদম মারপিট করেন। ওই রাতেই কেমিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন এসআই রিপন মিয়া।

আহত কেমি গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইমরান হোসেন সুইটের (২০) স্ত্রী। চিকিত্সাধীন কেমি জানান, তিনি গাবতলী উপজেলার ফজিলা আজিজ মেমোরিয়াল কলেজে পড়েন। একই কলেজে পড়তেন বর্তমানে তার স্বামী সুইট। সেপ্টেম্বর মাসে সুইট কলেজ থেকে ফেরার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করায় তার (কেমি) মা মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হলে পরের দিন পুলিশ সুইটকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষয়টি আপোস-মীমাংসার উদ্যোগ নেয় এবং উভয় পরিবারের বিয়ের সিদ্ধান্তে ওই মামলা আপোস করে। সেই আপসনামা আদালতে দাখিল করা হলে ৩১ অক্টোবর জামিনে মুক্ত হন সুইট। এরপর গত ১ নভেম্বর পরিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। এই বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন মিয়া।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।