চীন, রাশিয়া ও কোরিয়া অঞ্চলের মাছ ‘স্নেকহেড’। শুরুতে পালনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জলাশয়ে ছাড়া হয়েছিল স্নেকহেড ফিস। কিন্তু এই মাছ এমন রাক্ষুসে মাছ যে জলাশয়ের অন্য সব মাছ, কাঁকড়া, ব্যাঙ, সাপ সবই গিলে খেয়ে ফেলছে। আতঙ্কের বিষয় এই রাক্ষুসে মাছ পানি ছাড়াও বাঁচতে পারে। পানি ছাড়া এই মাছ বেঁচে থাকার মূল রহস্য এই মাছ তাদের শরীরের মধ্যে অক্সিজেন জমিয়ে রাখতে সক্ষম।
সম্প্রতি এই স্নেকহেড মাছ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে এক প্রকার হুলিয়া জারি করা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভয়ংকর এই মাছ দেখামাত্র হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্নেকহেড নিয়ে এতোটা কঠোর হওয়ার অন্যতম কারণ এই মাছ বছরে দশ হাজার পর্যন্ত ডিম দেয়। এই মাছ অন্য জাতের মাছ থেকে শুরু করে ব্যাঙ, কাঁকড়া সবই খেয়ে নিঃশেষ করে দেয়।
প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই মাছের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চার জাতের স্নেকহেডকে আমেরিকায় শনাক্ত করা গেছে। উত্তরাঞ্চলীয় স্নেকহেড মাছ দেখতে লম্বাটে ও চিকন। এর মাথা দেখতে অদ্ভুত রকম চ্যাপ্টা। এটি খুবই পাকা শিকারি প্রাণী এবং এর ক্ষুধা অফুরন্ত।
এটি দেখতে ৮০ সেন্টিমিটারের মতন লম্বা হতে পারে। এমনকি পানি ছাড়াও এই মাছ নিঃশ্বাস নিতে পারে এবং চলাফেরা করতে পারে। আর এ কারণেই এই প্রাণী এক জলাশয় থেকে আরেক জলাশয়ে চলে যেতে পারে। এই মাছ যদি একবার অন্য আরেক জায়গায় পৌঁছাতে পারে তাহলে এর বিস্তার ঠেকান মুশকিল।
পানি ছাড়াও যে এই মাছ বেঁচে থাকতে পারে সেই কথা উল্লেখ করে ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্স (ডিএনপি) জনগণের উদ্দেশে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। স্নেকহেডের শরীরে অক্সিজেন জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এ কারণে এটি পানির বাইরেও তিনদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই মাছের ভয়ংকর দিকটি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিশজিলা’।