1

পানির নিচে চট্টগ্রাম

টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম এখন পানির নিচে। নগরীর দুই-তৃতীয়াংশ এলাকাতেই হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে আছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রামে ১৮৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গিয়ে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহন চলাচলে। যানজট তৈরি হয়েছে মূল সড়কগুলোতে। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে অলিগলিতেও। পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, কাঁচাবাজারেও। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। হালিশহর, ওয়াসা, মেহেদিবাগ, প্রবর্তক, অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, পাঁচলাইশ, শুলকবহর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বাকলিয়াসহ নগরীর বড় অংশজুড়ে জলাবদ্ধতা। হালিশহরে সিলভার বেলস, সেটেলমেন্ট স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও কোমরপানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো স্কুল অনির্ধারিত ছুটি ঘোষণা করেছে।

হাসপাতালেও  হাঁটুপানি: টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলের হাসপাতালেও জমেছে হাঁটুপানি। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলা হাঁটুপানির নিচে, জরুরি বিভাগও তলিয়ে গেছে পানিতে। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষকে এ সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জলাবদ্ধতার কারণে হালিশহরের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হাসপাতাল এবং সাউথ পয়েন্ট হাসপাতালে আসা রোগীদেরও পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি। মা ও শিশু হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল আলমের স্ত্রী। প্রসবজনিত সমস্যা নিয়ে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি। রফিকুল আলম বলেন, ‘দিনভর পানিতে থৈ থৈ করেছে মা ও শিশু হাসপাতাল। জরুরি বিভাগে এসেও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেকে। যেসব রোগী হুইলচেয়ার ব্যবহার করে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন, চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।’