1

পদ্মায় ইলিশ আনতে গিয়ে দুই পুলিশ আটক

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকারকারী জেলেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ইলিশ নেওয়ার সময় দুই পুলিশ সদস্যকে আটক হয়েছে। এদের মধ্যে একজন রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের এএসআই সফিকুল ইসলাম ও অন্যজন কোর্ট পুলিশের কনস্টেবল ওসমান গনি।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মজিনুর রহমান জানান, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুই পুলিশসহ মোট ১৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে এবং জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে মাছ ও কারেন্ট জাল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে এই দুই পুলিশ সদস্যসহ সাত থেকে আটজনের একটি দল চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদ শেখের বাড়িতে আসে। তারা নিজেদেরকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে ওই সাবেক ইউপি মেম্বরকে ট্রলার নিয়ে নদীতে যেতে বাধ্য করে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে ভোরের দিকে পদ্মা নদীর ধাওয়াপাড়া এলাকা থেকে জনতা তাদেরকে ধাওয়া দিলে রাজবাড়ীর কোর্ট পুলিশ কনস্টেবল ওসমান গনি ও পুলিশ লাইন সংলগ্ন সোবাহান মেম্বরের পুত্র বাবু জনতার হাতে আটক হয়। এসময় স্থানীয় জনতা উত্তম মধ্যম দিয়ে তাদেরকে একটি মাদ্রাসা কক্ষে আটকে রাখে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

অপরদিকে একইদিন পদ্মা নদীতে অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাবের টহল দলের হাতে আটক হয় রাজবাড়ীর পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই সফিকুল ইসলাম।

রাজবাড়ী থানার এস আই মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে বা আনতে যাওয়ার অভিযোগে আটক দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসা হয়েছে। এরা যদি অপরাধ করে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজবাড়ী কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আটক ১৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অপর দুই পুলিশ সদস্যকে কার্যক্রম শেষ করে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।